কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’
আগস্ট ২৬, ২০২৫
এক বিকেলে আলাউদ্দিন কানের কাছে মুখ এনে আস্তে করে বলে, জহির ভাই, চলেন বিয়ার খাই
আদিম
উঁচু পাচিল দিয়ে ঘেরাও করা বাড়িটা। অনেক গাছপালা ঘেরা পাচিলের ভেতরে। ঘুরে দাঁড়িয়ে ধীর পায়ে হেঁটে গেলেন রাজুর দিকে। তারপর মুহূর্তে রাজুর কাঁধ চেপে ধরে তাকে দেয়ালের গায়ে ঠেসে ধরলেন।
মে ২০, ২০১৮
আদিম
পর্দা সরিয়ে ভেতরের কোণার দিককার একটা ঘরে ঢুকল রাজু। পেছনে আমজাদ হোসেন। খাটের ওপর পাথরের মূর্তির মতো বসে আছে বছর সাত-আটের এক ছেলে। দারুণ ফুটফুটে দেখতে। দৃশ্যটা বড় বেশি হাহাকারের। পাথরচাপা কষ্ট টের পেলেন আমজাদ সাহেব তার বুকের ভেতর। বুকের মধ্যে কোথায় যেন মোচড় দিয়ে ওঠে।
মে ১৯, ২০১৮
আদিম
ঘরটার দক্ষিণ দিকে একটা জানলা। জানলার ধারে টেবিল-চেয়ার বসানো। টেবিলের পাশে বেতের বুকসেলফ। পরিপাটি করে থরে থরে বইপত্র সাজানো। অগোছাল একটা বইও নেই। বেশির ভাগই ইংরেজি। একটু ঝুঁকে আমজাদ হোসেন বইগুলোর নাম পড়তে চেষ্টা করলেন।
মে ১৮, ২০১৮
ভূত বিলাসের ঘর
মানুষের যে দানবিক প্রবৃত্তি এবং তার চরিতার্থতার জন্য যে আয়োজন, বিশ্ব ইতিহাসে তার নজির অসংখ্য। কিন্তু মানুষের মধ্যে সুকোমল প্রবৃত্তিও আছে, প্রেম আছে, সহানুভূতি আছে। মানুষ একাধারে শয়তান আবার সে ঈশ্বরও। তুমি তোমার মধ্যে যাকে বাড়তে দেবে, তুমি আসলে সে।
মে ১৮, ২০১৮
আদিম
আজকাল খুনটুনের কেসগুলোতে তিনি তেমন একটা উৎসাহ বোধ করেন না। এখানে খুনিদের বেশির ভাগই ক্ষেত-খামার থেকে উঠে আসে। কেউ কেউ আবার বড়লোকের বখে যাওয়া পুতুপুতু টাইপের ক্রিমিনাল। এরা সকলেই কাঁচা মাথার। যথেষ্ট বিচারবুদ্ধি এদের কারোরই নেই। হাজারটা প্রমাণ রেখে মার্ডার করে।
মে ১৭, ২০১৮
আর্ট এবং আর্টিস্ট কথন
কিছু আর্টিস্ট যেমন, গুস্তাভ করবেট আর অ্যাডুয়ার্ড মানেট যখন এসব প্রতিষ্ঠানের সো-কল্ড আর্টের সংজ্ঞা ছুড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানিয়ে উলটো দিকে গিয়ে একটা মুভমেন্ট শুরু করেন। নিজেদের ব্যক্তিগত প্রদর্শনীতে তারা রিজেক্টেড আর্ট অর্থাৎ যেসব আর্টকে এসব প্রতিষ্ঠান লো আর্ট বলে স্বীকৃত করে আসছিল, সেসব আর্ট দেখাতে শুরু করেন।
মে ১৭, ২০১৮
আদিম
আমজাদ হোসেন এতক্ষণ চেয়ারে বসে ঝিমোতে ঝিমোতে পা নাচাচ্ছিলেন। এবার মাথাটা সোজা করে বার কয়েক কাঁশলেন। তারপর চোখ পিটপিট করে তাকালেন অবিনাশের দিকে। বুঝলে অবিনাশ, ভদ্রলোকের স্ত্রীকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মে ১৬, ২০১৮
ভূত বিলাসের ঘর
সেই সময় শহরজুড়ে তৈরি হয় এক তুমুল রাজনৈতিক আন্দোলনের আবহ। অনেক ছাত্র, কিশোর, যুবক সেই আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে। সেই আন্দোলনে উদ্দীপিত হয়ে ওঠে বাবুইও। রক্ত ফুটছে দাউদাউ করে, চোখে নতুন সমাজ গঠনের স্বপ্ন, বাবুই তখন অপ্রতিরোধ্য। তারপর একদিন গোটা তল্লাটজুড়ে ধরপাকড় শুরু হয়।
মে ১৩, ২০১৮
বেশ্যাকন্যা
বাংলাদেশের নিষিদ্ধ পল্লী নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে ২০০৬ থেকে ধারাবাহিকভাবে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়। দিনের পর দিন... বছরের পর বছর ধরে আমি তাদেরকে নিয়ে কাজ করেছি। এর সবই করেছি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিয়েটিভ টাচ’ এর ব্যানারে।
মে ০৯, ২০১৮
বেশ্যাকন্যা
আমার ডকুড্রামাটির এডিটিং সম্পন্ন হলে আমার সহধর্মিণীর আর্থিক সহযোগিতায় ২০১১তে ঢাকা পাবলিক লাইব্রেরিতে টানা দুদিন ডকুড্রামা ‘স্বপ্নাতীত স্বপ্ন’ প্রদর্শিত হয়েছিল। গিন্নী নিজে উপস্থিত থেকে আমার সেই ইভেন্টটি সুন্দরভাবে শেষ করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছিল।
মে ০৮, ২০১৮
























