ইরফান শেখের গদ্য ‘পুরান বই বাজারের ফিরিস্তি’

সাহিত্যিকরা আছেন ভীষণ বেকায়দায়। উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ কিছুই বিক্রি হয় না। সাকুল্যে তিনশো কপি বই বিক্রি হলে লেখকরা বর্তে যান। ভাবেন, ইতিহাসে একটু হলেও জায়গা হলো

রাস্তাজুড়ে জ্যাম। কলিগরা নানা কায়দা কসরত করে অচেনা অলিগলি দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে লাগলেন। আমি বরাবরের মতো এসব থেকে দূরে থাকলাম। সিটের ওপর উপর পা গুটিয়ে আবারও ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে’ মনোযোগ দিলাম।

একবিংশ শতাব্দীতে তো চায়ের দোকানের আড্ডায় মার্কসিজম, জিনোলজি— এইসব নিয়া আলোচনা হওয়ার কথা। এইসব জ্ঞানতো এক-দেড়শো বছরের পুরানো

মন খারাপ মানে নেগেটিভিটি । ফেসবুকের একটি কমন মুড হলো, নেগেটিভিটি। এই নেগেটিভিটির উৎস নেগেটিভ শব্দ । নেগেটিভ শব্দে আমাদের সবার মন খারাপ হয়।

দেখলাম, সেদিনের মা ও তিন শিশু দারুণ পরিপাটি হয়ে আরাম করে ঘুমুচ্ছে। আজ তারা এলোমেলো, অগোছালো, দলাপাকানো ভাঙারির মতো উচ্ছিষ্ট নয়। তাদের গায়ের উপর কাঁথার মতো কিছু একটা, মাথার উপর মশারি।

জীবনে এমন একটা সময় আসতে পারে যখন হয়তো আপনি একেবারে একা। একা বলতে নিঃসঙ্গ নয়। একা অর্থে ভিড়ের মধ্যেও একা। যেন একটা স্ফটিকের অর্বুদের ভেতর আটকে পড়েছেন আপনি

এগুলো ভদ্র সমাজের ভদ্রলোকি আইন। ঘরে বউও রাখবে, ভাড়ার ঘরে মিস রক্ষিতাও পালবে। মাঝে সবাই ধোপদুরস্ত। একই ফাকিংয়ের বাংলা `চুদি` লিখলে বাঙালি জিব কেটে একাকার

রাস্তার দুপাশে অসম্ভব ধুলো উড়ছে, ধুলোয় গাছের পাতা সাদা হয়ে গেছে, বাসের জানালা গলে দূরে কোথাও আকাশ দেখা যায়, সামান্য নীল—এসবই কি মনে করিয়ে দিলো পুরনো সেইজনকে?