কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

প্রেমে পড়ায় বারণ নেই। দুটি তরুণ-তরুণী প্রেমে পড়তেই পারে। কিন্তু ঝামেলা বাধালো এক উঠতি কবি। এই কবির সঙ্গে আরও তিন বছর আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সেঁজুতির। সেঁজুতি অবশ্য স্বীকার করতে নারাজ।

ক্রাক ডাউনের পর একদিনও পারভিনের সাথে দেথা হয়নি। পারভিনের খোঁজে ওদের বাড়ি যেতে রোজই ইচ্ছে হয়। কিন্তু নানা সংকোচের জন্য যাওয়া হয় না। একদিন দেখা হয়েই আমান বুঝেছে, খালু ওকে এড়িয়ে যেতে চান।

সাহিত্যজগতে ‘নিভৃতচারী লেখক’ ও ‘প্রচারবিমুখ লেখক’ শব্দ দুটি খুব ভাব-গাম্ভীর্যের সঙ্গে উচ্চারিত হতে দেখা যায়। কারো কারো কাছে শব্দ দুটি খুবই পবিত্র। লেখককে আসলেই নিভৃতচারী হতে হয়।

এই বাড়ি ঘেঁষে একটা শুকনো খাল চলে গেছে। বাবু একদিন ওখান দিয়ে যেতেই দেখল, খালের মাঝখানে পানির সরু ধারা। বাবু ভেবে পেল না, এই পানি কোত্থেকে এলো! পরদিন বাবু দেখল খালের অর্ধেক প্রায় পানিতে ভরে গেছে।

মরমি কবি জালালউদ্দিন রুমির সমাধিস্থলে তো মসজিদের পাশাপাশি নৃত্যশালাও রয়েছে। মরমি-সাধকরা সেখানে নৃত্য করে থাকেন। তারা কি নৃত্য করে বা নৃত্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছেন?

বিমান বন্দর সড়কেই ইমাম বেশি যাতায়াত করে। বিমান বন্দরের যাত্রী অভ্যর্থনা লাউঞ্জে গিয়ে বসে থাকে। রেস্টুরেন্টে চা খেতে খেতে বিমানের ওঠানামা দেখে। প্রথম চিন্তা ছিল, পাকিস্তানিদের সৈন্য আসা-যাওয়ার একটা হিসাব রাখা।

মঠের ভেতর থাকা পাখিরা বাইরে এসে উড়াউড়ি শুরু করছে। বাবু একদৃষ্টে পাখিদের উড়াউড়ি দেখতে লাগল। হঠাৎ করে একটি পাখি হাসান ভাইয়ের এক বন্ধুকে যিনি অনেক উঁচুতে উঠে হাতুড়ি চালাচ্ছেন তাকে গিয়ে ঠোকর দিল।

কাশফুলের মাথায় আরেকটা বড় প্রজাপতি। পাখায় কত ধরনের রং। বাবু ঠিক করল এই প্রজাপতিটা ধরবে। কিন্তু প্রজাপতিটা খুব চালাক। বাবুর ফাঁদ দেখলেই উড়ে যাচ্ছে। প্রজাপতির পেছনে ছুটতে ছুটতে বাবু ঘেমে গেল।