কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’

স্বপ্নটা ভেঙে গেল। কে যেন ধাক্কা দিচ্ছে ওকে!  ঘুম জড়ানো চোখ খুলতে কষ্ট হচ্ছে। আবার ঘুমাতে চেষ্টা করল। পারল না। প্রচণ্ড শব্দ ওর কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে। শব্দটা কি স্বপ্নে এসেছে!

অনেকক্ষণ বসে থাকার পর অন্ধকার সয়ে এলো দু’চোখে। রুমটায় কোনও জানলা নেই। শুধু লোহার ভারি দরজা। বাইরের একটি শব্দও এই রুমে আসে না। আসে না পাখির ডাক। মানুষের কথাবার্তা। এমনকি ভারি বুটের শব্দও।

দুপুর থেকেই ঢাকা মিছিল নগরী। মিছিলে যোগ দিতে লঞ্চ বাস ট্রাক রেলগাড়িতে চড়ে ঢাকার চারদিক থেকে স্বতঃস্ফূর্ত মানুষ পল্টন ময়দান অভিমুখ চলছে।

বেলাভূমি থেকে কিছুটা উঁচুতে ফসলের মাঠ, এখন শস্যশূন্য। একপাশে একটা পায়ে চলা পথ। ছটটু সবাইকে নিয়ে ওই পথে হাঁটতে লাগল। আরেকটু এগুতেই ওদের নজরে এলো বসতবাড়ির চিহ্ন।

সেদিন সোলো মুভি ডেটে গেছিলাম। মুভির নাম `দ্য গ্রাজ`। পাশের সিটে বসেছিল কুড়ি-বাইশ বছরের দুটি ছেলেমেয়ে। কথোপকথনে যা বুঝলাম, মেয়েটিকে ভূতের সিনেমায় সঙ্গ দিতে ছেলেটি এসেছে।

যে মহিলারা সংসারে হাজার অন্যায় ও অবিচারের কাছে ঘাড় পেতে দেয় তারা শুধু নিজেরাই পিছিয়ে থাকে না, তারা আরো বহু প্রজন্মকে পিছিয়ে দেয়। এরা বিষণ্ণ, তাই আরো অনেক মনের বিষণ্ণতায় আশ্রয় খুঁজে বেড়ায়।

তুমি বেশ বোকা। সত্যি কথা মুখ ফুটে বলতে চাও না। এখন আমান ভাইয়া আমার কিছু সমস্যার কথা শোনও। পুরোটা মন দিয়ে শুনে তারপর তোমার কথা বলবে। আমাকে বিয়ে করার জন্য এখন বাঙালি অবাঙালি হালি হালি পাত্রের লাইন।

তিন ফরাসি টিভি ক্রু ও জাপানি সাংবাদিক মাওলানার সফরসঙ্গী। জাহাজটি চট্টগ্রাম ছেড়ে চৌদ্দ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে আবার ফিরে আসে। এ নিয়ে সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়।