কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’
আগস্ট ২৬, ২০২৫
এক বিকেলে আলাউদ্দিন কানের কাছে মুখ এনে আস্তে করে বলে, জহির ভাই, চলেন বিয়ার খাই
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
যতীন সরকারকে আমরা পেয়েছি দেরিতে। একটা কারণ হচ্ছে, তিনি প্রকাশের জন্য লিখতে শুরু করেছেন ৫৫ বছর বয়সে এসে। অপর কারণটি চিরকাল মফস্বলবাস। ঢাকামুখি ছিলেন না কখনো। অবিরাম ও গভীর জ্ঞানচর্চায় নিবিষ্ট ছিলেন।
মে ১১, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
আমি ‘কণ্ঠস্বর’-এর বাঁধানো সেট খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। এত নাম-ডাক যে পত্রিকার, এত প্রচার যে পত্রিকার লেখক-কবিদের, সেই পত্রিকায় আমি কিন্তু খুব উন্নতমানের লেখা তেমন একটা খুঁজে পাইনি।
মে ১০, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
আজিজুল হক বললেন, যখন যেখানে আছি, সেখানে প্রতিবাদ করাই এখন আমাদের কাজ। নিজে সাহস দেখানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সাহসী করে তোলাই এখনকার কাজ।
মে ০৮, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
কিশোরপুত্র বাবলুকে রোজ বিকালে মাঠে-পথে-নদীর ধারে বেড়াতে নিয়ে যেতেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একবার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তা হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শ্রী অরবিন্দের স্মরণ সভায়।
মে ০৫, ২০১৯
পাপিয়া জেরীনের গপ্পো সপ্পো
যে ঘরটার সামনে গিয়া দাঁড়াইলাম সেইখানে খিচুড়ি রান্না হইতেছে, কঞ্চির বেড়া দিয়া ধুঁয়া বের হইতেছে। ভিজা পাতা দিয়া ঠিকঠাক চুলা জ্বলতেছে না, রান্ধুনি চুঙ্গায় ফু দিতেছে আর কাশতেছে। এই রান্ধুনি মাইয়ার নাম বেবী
মে ০৪, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
অনিল ঘড়াই দাঁড়িয়ে ছিলেন চক্রধরপুর রেলস্টেশনে। আমি প্লাটফর্মে নেমে খুঁজছিলাম তাকে। দেখলাম তিনি দূর থেকে হাত নাড়ছেন আমাকে উদ্দেশ্য করে। তার মানে আমার আগেই উনি দেখতে পেয়েছেন আমাকে।
মে ০৪, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
আশরাফ মুখ গোমড়া করেই পুরস্কার নিলেন। পুরস্কার মানে একটা পেতলের থালায় খোদাই করা কয়েকটি বাক্য। একজনকে ব্যঙ্গ করে বলতে শুনলাম, ওই থালাটা নিতে সুদূর বাংলাদেশ থেকে এসেছেন দাদারা! হে হে হে!
মে ০৩, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
মৃত্যুর পরে ডাক্তাররা যখন জানালেন মদ খাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়নি লেখকের, তখন হাসপাতালের এমাথা ওমাথা দৌড়ে দৌড়ে চিৎকার করছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়, মানিকবাবু মদ্যপ ছিলেন না। মদ তার মৃত্যুর কারণ নয়। এই যে প্রমাণ!
মে ০২, ২০১৯
চাঁদ সোহাগীর ডায়েরী
নিপুণ মায়ের সাথে যখন দেখা হয় তখন আমার বয়স তেইশ। উনি বললেন, ‘কে বলেছে? তোর পাক্কা আশি!’ তা বলে যে আমি সবই দেখতে পেয়েছি, এমন নয়। আমার অনেক স্বপ্নালু বিভ্রম আছে। আমি অনেক মরীচিকাও দেখেছি।
মে ০২, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
আহমদ ছফা কি ভারতবিদ্বেষী ছিলেন? আমি দ্বিধাহীনভাবেই বলব, তিনি কিছুটা ভারতবিদ্বেষী ছিলেন। কতটা? বাংলাদেশের একজন দেশপ্রেমিক নাগরিকের যতখানি ভারতবিদ্বেষী হওয়া উচিত, তিনি ছিলেন ততটাই।
মে ০১, ২০১৯
























