কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’
আগস্ট ২৬, ২০২৫
এক বিকেলে আলাউদ্দিন কানের কাছে মুখ এনে আস্তে করে বলে, জহির ভাই, চলেন বিয়ার খাই
চাঁদ সোহাগীর ডায়েরী
ইচ্ছে করে কোনো পাহাড়ের মাথায় গিয়ে বসি, শীতলে। শুভ্র তুষার যেখানে ঢেকে রেখেছে অরণ্যের বুনো যৌবন, তাকে গলানোর সাধ্য নেই কোনো তাপাঙ্কের। ইচ্ছে করে বসি ধ্যানাসনে, যোগমুদ্রায়।
এপ্রিল ৩০, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
লেখাকে সর্বস্ব হিসাবে গ্রহণ করেছেন যিনি তার পক্ষে কি শারীরিকভাবে পরিপূর্ণ সুস্থ থাকা সম্ভব? কাঁধে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, চোখে ক্লান্তি, লেখার আঙুল ফুলে ওঠা, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে শরীর ম্যাজম্যাজ করা তো তার সবসময়ের সঙ্গী।
এপ্রিল ৩০, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
পশ্চিমবঙ্গের সাথে আমাদের দেশের লেখক-কবিদের সম্পর্কটা পরিষ্কার নয়। দ্বন্দ্ব-মিলনে জটিল। কারণও অনেক। দেশভাগের পরে সাহিত্য ও প্রকাশনার সবকিছুই ছিল কলকাতায়। ঢাকাকে সব শুরু করতে হয়েছে শূন্য থেকে।
এপ্রিল ২৯, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
আমরা তখন বিশাল একটা ব্যাচ। দর্শনীর বিনিময়ে কবিতা পাঠের আসর করি, শহরের মোড়ে মোড়ে গণসঙ্গীত আর পথনাটক করি, পত্রিকা বের করি, চিত্র প্রদর্শনী-ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করি, আবৃত্তি-নাটকের ওয়ার্কসপ করি।
এপ্রিল ২৮, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
চীনাদের মধ্যে একটা প্রবাদ চালু আছে। “তুমি কোনো বৃদ্ধকে থাপ্পড় মারতে পারো। কারণ সে কী তা তুমি জানো। কিন্তু কোনো শিশুকে থাপ্পড় মেরো না। কারণ সে বড় হয়ে কী হবে তা তুমি জানো না।”
এপ্রিল ২৭, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
ঢাকাতে একটি দল বেরিয়েছে লেখক-কবিদের মধ্যে। তারা নিজেদের অভিজাত লেখক মনে করেন। আমাকে দেখিয়ে টিপ্পনি কাটেন, ওই যে যাচ্ছে লেখক, গরিব নিয়ে লেখে। গরিব বেচে খায়।
এপ্রিল ২৬, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
আধুনিক লেখক-কবি-চিন্তাবিদরা নিজেদের পুরোপুরি সরিয়ে নিয়েছেন ইসলাম থেকে। ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছেন মুসলিম লীগ, জামাতে ইসলামী, নেজামে ইসলামীর মতো দলের হাতে। ছেড়ে দিয়েছেন মোল্লা-মাদ্রাসার হাতে, তবলিগ-কওমীদের হাতে।
এপ্রিল ২৫, ২০১৯
রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা
আশির দশকে কলকাতা বইমেলায় সৈয়দ শামসুল হককে তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে প্রশ্ন করেছিলেন নাকউঁচু সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়— আপনি নাকি বাংলাদেশের বড় লেখক! তা মশাই সল বেলো-র লেখা পড়েছেন?
এপ্রিল ২৪, ২০১৯
চাঁদ সোহাগীর ডায়েরী
ছেলেটি কি গালে হাত দিয়ে বসলো কোন ম্রিয়মাণ আলোর নীচে? আর দূরে মিলিয়ে যাওয়া মেয়েটি বাসের জানালার ধারের সিটটি ঘেঁষে বসে আঙুলে বুলিয়ে নিলো বুঝি দুচার ফোঁটা নোনতা জল, বিশ্বাস ভঙ্গের? বিশ্বাস! সে বড় আজব জিনিস।
এপ্রিল ১৬, ২০১৯
চাঁদ সোহাগীর ডায়েরী
ছোটবেলায় ওর দুটো প্রিয় গরু ছিল। একজনের নাম জ্যাগোব্যাগো, আরেকজনের মুনু। জ্যাগোব্যাগোর সাথে খাতির ছিল বেশি। কলির কেষ্ট নাকি ওর পিঠের ওপরেই শুয়ে থাকতো সারাদিন। বাছুরদের দলে মিশে দুধ খেত।
এপ্রিল ০৭, ২০১৯
























