ইরফান শেখের গদ্য ‘পুরান বই বাজারের ফিরিস্তি’

সন্ধ্যায় ভদ্রলোকেদের মতো নাস্তা করলে প্রায়ই বিপদে পড়তে হয়। লা.. লা... লালা পি... পি... করতে করতে কাজ সেরে বাসায় চলে আসি। মাঝরাতে ক্ষুধা লেগে গ্যালে তখন মনে পড়ে, হায়! হায়!

প্রস্তাব দিয়ে কি প্রেম হয়? না, প্রস্তাবের তোয়াক্কা করে না প্রেম। প্রেম হয়। হয়ে ওঠে। যেমন হয়ে ওঠে লেখা। কখনো সারাদিন টেবিলে কাগজ-কলম নিয়ে বসে থাকলেও একটি শব্দ লেখা হয়ে ওঠে না

ছোট-বড় মাঝারি ভালো-মন্দ মাঝারি জীবনে কত গল্পই না লিখলাম। তবু অলিখিত গল্পের সংখ্যা যেন আরো বেশি। যে সব গল্প লিখব বলে ভেবে রেখেছি অথচ শেষ পর্যন্ত লেখা আর হয়ে ওঠেনি

খন্দকার মাহমুদুল হাসানকে দেখলেই হৃদয়ে একটা প্রশান্তি এসে যেত। খুব হৃদয় ছুঁয়ে কথা বলতে পারতেন মানুষটি। জাগতিক নিন্দা ঠাট্টার ঊর্ধ্বে উঠে চলতে জানতেন। বড় ভালোবাসতেন অনুজদের। বড় আপন করে নিতেন।

ঈশ্বর দেখলেন, রাষ্ট্র আর গণমাধ্যমের তৈরি চিন্তার স্তূপ তার সামনে। কত কত লেখা। কত কত লেখক। এই হলো পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাস। যে ইতিহাস লেখা হয় রাষ্ট্রের সমর্থনে।

যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে আবার জ্ঞান হারালো ঊর্মি। অনেকক্ষণ সে ভাবার চেষ্টা করছিল, কোথায় ও? কোন জায়গা? কারা লোকগুলো? দমবন্ধ করা পরিবেশ, আবছা কালো কিছু মূর্তি আর কিছু শব্দ কানে আসছিল ঊর্মির।

রাস্তার পাশে কাঠের বেঞ্চিটাতে এই বসলাম মাগো বলে। চুলোয় যাক আমার আটটার ট্রেন। আমি এখন এখানে বসে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিবো।

একবার আমার খুব জ্বর হয়েছিল। আমি প্রচণ্ড উত্তাপ নিয়ে খুব শীতে কুকড়ে যাচ্ছিলাম। আমি একধরণের দেয়ালায় ছিলাম। হঠাৎ একটি নগ্ন, খালি শরীরের অস্তিত্ব আমি আমার শরীরের সাথে টের পেয়েছিলাম।